মাদরাসা, মসজিদ, দাতব্য প্রতিষ্ঠান, প্রকাশনী, বক্তা/লেখক, অনলাইন অ্যাকাডেমি/কোর্স ইত্যাদি।

মাদরাসা

১। ব্যাসিক ওয়েবসাইট

ওয়েবসাইটে ৪-৫টি পেজ থাকবে। হোমপেজ, ভর্তি সম্পর্কিত তথ্য যোগাযোগ, আমাদের বৈশিষ্ট্য, আমাদের সাফল্য, ডোনেট/অনুদান ইত্যাদি।

একবার ওয়েবসাইট বানানো হলে হয়ত পরবর্তী অনেক মাসেও হয়ত কোনো পরিবর্তন আনার প্রয়োজন হবে না। (হয়ত বছরে ৩-৬বার হালকা হালকা কিছু পরিবর্তন আনাই যথেষ্ট)

যারা শুরু করতে চায় + শুরুতেই খরচ বেশি করা সম্ভব না- তাদের জন্য পার্ফেক্ট।

যেমনঃ https://madrasatulilm.com/

২। ব্লগ/cms সম্পৃদ্ধ ওয়েবসাইট।

যেখানে উদাহরণস্বরূপ- ‘নোটিশবোর্ড’ থাকবে। ছুটি, পরীক্ষাসহ বিভিন্ন এ’লান- যা মাদরাসার নোটিশবোর্ডে টাঙ্গানো হয়- ওয়েবসাইটেও দেয়া হবে।

পাশাপাশি হয়ত কিছু ইসলামী আর্টিকেল মাসে কয়েকটি হয়ত প্রকাশিত হবে। বা ফতোয়া/ইসলামী প্রশ্নের উত্তর। বা উভয়টিই।

উল্লেখ্য- ফতোয়ার ক্ষেত্রে ইউজার হয়ত ইমেইল/হোয়াটস অ্যাপে লিখে পাঠাবে, অ্যাডমিন ব্লগ পোস্টে উত্তর লিখবে।

আর যদি ইউজার লগিন করে প্রশ্ন করবে, সেই প্রশ্ন অ্যাপ্রুভ হবে / রিজেক্ট হবে, অনেকজন উত্তরদাতা নিজ নিজ আইডিতে লগিন করে উত্তর দেবে- এমন হলে সম্পূর্ণ আলাদা হিসাব-কিতাব। যেমন- https://ifatwa.info/ (discourse দিয়ে বানানো যেতে পারে)

৩। ম্যাগাজিন

যদি মাদরাসা থেকে প্রকাশিত (বা স্বতন্ত্রভাবে প্রকাশিত) মাসিক/দ্বি-মাসিক/ত্রিমাসিক পত্রিকা থাকে- সেটির অনলাইন ভার্সন। alkawsar.com এর মত।

অবশ্যই আলাদা ডোমেইনে, কমপক্ষে সাবডোমেইনে।

৪। মাদরাসা ম্যানেজমেন্ট

মার্কেটে অনেক মাদরাসা/স্কুল/শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার আছে। ওগুলো কারো জন্য বিভিন্ন কারণে যথেষ্ট না হলে নিজের মত করে বানিয়ে নেয়া যায়।

সেক্ষেত্রে ফিচারলিস্ট থেকে কিছু কিছু বেছে নেয়া যেতে পারে। প্রতিটি ফিচারের জন্য আনুমানিক ১০-৫০ হাজারের মত লাগতে পারে।

কিছু ফিচার লিখছি- সেগুলো সম্পর্কে কিছু কথা-সহ

১। ভর্তির তথ্য কি ইউজার/ছাত্র নিজে অনলাইনে পূরণ করবে?

যেমন- mimalmadinah.com মাদরাসাতুল মাদীনার শুধুমাত্র ভর্তি সংক্রান্ত সাইট।

এটি থাকলে সুবিধা এই জন্য যে- নতুন ছাত্রের তথ্য কাউকে ফরম দেখে দেখে নিজেদের অ্যাপে লিখতে/টাইপ করতে হলো না।

ছাত্র/তার পক্ষে কেউ ফরম পূরণ করবে, তারপর রেফারেন্স নম্বর / প্রিন্ট নিয়ে মাদরাসায় চলে আসবে।

২। বিভিন্ন ফি/টাকার হিসাব।

জমা দেবে, রশিদ প্রিন্ট হবে, sms যাবে ইত্যাদি। একটি প্রতিষ্ঠানে একটি ফিচার লাগলে- এটিই লাগবে।

৩। ব্যায়ের হিসাব

ব্যায়ের ক্ষেত্রে সমস্যা হলো- শুধু কবে, কী বাবদ, কত খরচ হলো তা লিখে রাখাই তো যথেষ্ট না- তার বিপরীতে মেমো/ভাউচারের ছবি বা ভাউচারটির কাগজ কোন ফাইলে আছে তাও লিখতে হবে।

৪। হাজিরা

ডিজিটাল হাজিরা। কাগজে কলমে না করতে চাইলে। অবশ্য এটি করতে চাইলে তো কোন বিভাগে কয়টি দরস/ক্লাস, কোনটির শিক্ষক কে, আরো অনেক ব্যাপার স্যাপার চলে আসে।

আরো খরচ করতে চাইলে- আইডি কার্ড স্ক্যান করে / ফিঙ্গারপ্রিন্ট দিয়ে হাজিরার ব্যবস্থা করা যাবে। (অনাবাসিক প্রতিষ্ঠান / শিক্ষার্থীদের জন্য আরো বেশি উপযোগী।)

৫। পরীক্ষা ও রেজাল্ট

একই কথা, মাদরাসার ওয়েবসাইটে পিডিএফ (সহজ) / রোল নম্বর দিয়ে রেজাল্ট দেখানোর ব্যবস্থা (বছরে ৩ বার আপডেট) তো করা যেতেই পারে।

কিন্তু পূর্ণাঙ্গ ম্যানেজমেন্ট সিস্টেমের সাথেও থাকতে পারে।

আরো বিভিন্ন কিছু হতে পারে।

মসজিদ

বাংলাদেশের জাতীয় মসজিদেরও ওয়েবসাইট আছে কিনা- সন্দেহ আছে।

একটি মসজিদের ওয়েবসাইট থাকলে সেখানে কী থাকবে? পরিচিত, কমিটি, ডোনেশন, আয়-ব্যায়ের হিসাব- এইতো!

আর নামাজের মাসয়ালা মাসায়েল, প্রতি শুক্রবারের বয়ান থাকতে পারে।

দাতব্য প্রতিষ্ঠান

যেমন https://assunnahfoundation.org/

প্রকাশনী

শুধু বইয়ের বর্ণনা থাকতে পারে, কিন্তু কিনতে চাইলে রকমারি, ওয়াফিলাইফে পাঠিয়ে দেবে। (ওয়েবসাইট না থাকার চেয়ে এমনটা থাকা ভালো)।

আর আরো হিম্মত থাকলে ই-কমার্সই থাকতে পারে।

বক্তা/লেখক

বক্তা হলে cal.com calendly.com বা গুগল ক্যালেন্ডার দিয়েও বুকিং/অ্যাপয়েন্টমেন্ট সিস্টেম করা যেতে পারে।

যারা দাওয়াত দেবে- তারা দেখতে পারবে- কবে ফাঁকা আছে।

আর লেখক হলে- নিজের সকল বইয়ের তালিকা।

অনলাইন অ্যাকাডেমি / কোর্স

১। ব্যাসিক: যেখানে বিভিন্ন কোর্স থাকবে, ইউজার enroll করে ভিডিও দেখতে পারবে।

২। অ্যাডভান্সড/লাইভ কোর্স: কয়েক মাস / বছরব্যাপী কোর্স, প্রতি মাসে ফি। হাজিরা, লাইভ ক্লাস, পরবর্তীতে রেকর্ডেড ক্লাস ইত্যাদি।

যে কোনো ধরণের ওয়েবসাইটের জন্য আমার সাথে যোগাযোগ করতে Whatsapp